আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে।
তাঁর বাড়িতে মাদকের আসরের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে পুলিশ বলছে, সবকিছু খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বাদশা মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগম তাঁদের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়ানো অবস্থায় উপস্থিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছেন। এ সময় তিনি ফেনসিডিলের বোতলের মুখ খুলে কাচের গ্লাসে ঢেলে দেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত একজনের কণ্ঠে শোনা যায়, এখানে প্রশাসন আসে না?
উত্তরে স্বপ্না বেগম বলেন, এটা মেম্বারের বাড়ি, এখানে প্রশাসনের ক্ষমতা খাটে না। তবে ম্যাজিস্ট্রেট হলে সমস্যা থাকে।
উপস্থিত ব্যক্তিদের একজন দাম বাড়তি নেওয়ার অভিযোগ করে বলেন, সব সময় ইউপি সদস্যের বাড়িতে নিরাপত্তা বেশি, সে জন্য আসি। এটাকে দুর্বল (দুর্বলতা) ভাবেন ক্যান।
ভিডিওতে ইউপি সদস্য বাদশা মিয়াকে টাকা গুনতে দেখা যায়।
গোড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আমিন সাংবাদিকদের বলেন, আমার জানা মতে বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মাদকের মামলা আছে। সংখ্যাটা জানা নেই। বাদশা মিয়া ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে বর্তমানে জামিনে আছেন। আমি তাঁকে বলেছি, আগে খারাপ কাজ যা করার করেছেন, এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, এখন আর ওসব কুকর্ম করবেন না।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে তিনি জেনেছেন। সবকিছু খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধী যে-ই হোক, আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।